টাইফয়েড ভ্যাকসিনের বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে - দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা

টাইফয়েড ভ্যাকসিনের বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে - দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা

 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, টাইফয়েড ভ্যাকসিনের বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে শিশুরা এ টিকা গ্রহণে আগ্রহী হয়। টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যে কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে আগে তা প্রতিরোধ করা উত্তম। তিনি বলেন, সরকার দেশব্যাপী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

 

উপদেষ্টা আজ বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও গ্যাভির আয়োজনে টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

ফারুক ই আজম বলেন, টাইফয়েড রোগের প্রধান বাহক দূষিত পানি। এটা একবার হলে স্বাস্থ্য ভঙ্গুর ও চিন্তাশক্তি নষ্ট করাসহ নানা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। একবার টিকা দিলে সারা জীবনের মতো নিরাপদ থাকা যায় বলে তিনি টিকা নেওয়ার জন্য সকলকে উদ্ধুদ্ধ করেন।

 

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওসার, ডিআইজি মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, পুলিশ কমিশনার মোঃ শরিফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ আব্দুস সালাম, বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল, সমাজ সেবার পরিচালক শাহ মোঃ রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সভায় জানানো হয় শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা দিতে আজ থেকে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। এক মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে সরকার ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনা মূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে। টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী ১২ অক্টোবর অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩.৩০ পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

 

পরে উপদেষ্টা বরিশাল জিলা স্কুলেও টাইফয়েড ভ্যাকসিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

 

 

 

সূত্রঃ পিআইডি